ঢাকাঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ৭ মে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী মিজানুর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকে সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী মিজানুর ‘Come Out for Save Gaza’ ও ‘Protest Rally’ নামের কর্মসূচির প্রচারণা চালান, যা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশে সংগঠিত হয়েছিল।
পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (টেকনো) ও ল্যাপটপ (লেনোভো) জব্দ করলে সেখানে উগ্রপন্থী ও রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আবেদনে আরো বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুত তাহারীর সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কথা জানান। আসামি মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন বলে জানানো হয়।
শিক্ষার্থী মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, ‘মিজানুরকে সেদিন রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমরা তিন দিন তার কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।’
জবি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
মামলার বিষয় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু বলেন, মামলাটি আমি আসার আগে হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার থেকে ভালো বলতে পারবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.