খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীর হামলায় সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলা ২০১৮ ব্যাচের ছাত্র নোমানের ছাত্রত্ব সাময়িক স্থগিত ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের সনদ স্থগিত ও তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেটের সভায়। এ ছাড়া তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে খুবির সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জানান, অভিযুক্ত ছাত্র মোবারক হোসেন নোমান খুবির একজন অনিয়মিত ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র পরিচালক হাসান মাহমুদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় আজ বিকেলে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা হয়। সভায় সিন্ডিকেট ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবসহ তাঁর ছাত্রত্ব সাময়িক স্থগিত, ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ, স্নাতক পর্যায়ের সনদ স্থগিত ও তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া উদ্ভূত ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রেজাউল করিম আরও জানান, অভিযুক্ত ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক গুরুতর অভিযোগ ছিল। সেসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও তিনি সংশোধন হননি।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ২০১৮ ব্যাচের ছাত্র মোবারক হোসেন নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলাকারী মোবারক হোসেন নোমানকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এ ছাড়া আজও তাঁর শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.