নওরিন নুর তিষা ,ববি প্রতিবেদক: গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পূর্নবাসনের অভিযোগ এনে সাধারণ শিক্ষার্থীেদর ব্যানারে শুরু হওয়া আন্দোলনের কারনে উপাচার্য বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে যাওয়ার ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত করা হয়নি মেরামত। অভিযুক্তদের দাবী উপাচার্য ইচ্ছাকৃতভাবেই এটি মেরামতের উদ্যোগ না নিয়ে নতুন নাটকের অভিনয় মঞ্চায়ন করছেন।
মামলার ১ নম্বর অভিযুক্ত মোকাব্বেল শেখ বলেন, এটি আন্দোলন চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হিসেবে আমরা উপাচার্যের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।তিনি আমাদেরকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু সময়টা গত এক মাসে গড়ালেও তিনি কথা রাখেননি। অতঃপর আমরা আবারও তার সাথে আলোচনা করি। অদৃশ্য কারনে তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিশোধপরায়ণ রুঢ় ব্যবহার করেন। তার প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতা ও পরবর্তীতে পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার না করেই সম্পূর্ণ দায়ভার আমাদের আন্দোলনকারীদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেন।
এতদিনে তার বাসভবনের গেইট মেরামত না করাকে আমরা তার আরেকটি নাটক হিসেবে দেখছি। তিনি ক্যাম্পাসের সার্বিক উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। আমরা অনতিবিলম্বে তার স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি পরিহার করে সকল শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে একটি সুন্দর ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি।
সিকিউরিটি শাখার প্রধান ও মামলার বাদী সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে খুব জোরালোভাবে দরজায় আঘাত করেছে তেমনটা নয়। সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে এবং বিগত প্রশাসনের সময়ে এটি খুব নরমাল ভাবে তৈরীর কারনে ভেঙে গেছে। উপাচার্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এটা সত্য কিন্তু থানা থেকে একবার এসে পরিদর্শন করে গেলেও কি কারনে মেরামতের জন্য দেরি হচ্ছে তা আমার জানা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপ্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদিন বলেন, দরজাটি মজবুতভাবে তৈরী করার জন্য দেরি করা হচ্ছে। উপাচার্যের অনুমতি পেলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। আমরা তার আদেশের অপেক্ষায় আছি।
মামলার আইনজীবী আবুল কালাম আযাদ ইমনকে ছাত্র প্রতিনিধিদের সামনে উপাচার্য মামলা প্রত্যাহার আদেশ দিলেও এখনো কেন সমাধান হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে আলাপ করেছিলো কিভাবে প্রত্যাহার করা যায় কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আপডেট আমি পাইনি। আর এ বিষয়ে আপনি ম্যামের সাথে আলাপ করেন সেই ভালো বলতে পারবেন।
মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, থানা থেকে স্পর্ট পরিদর্শন করে এসেছে এ বিষয় তদন্ত চলমান তবে মামলা প্রত্যাহারের কোনো উদ্যোগ নেই।
সার্বিক বিষয় সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৪/০৩/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.