পিরোজপুরঃ পিরোজপুরের নাজিরপুরের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষক কর্তৃক ঘুষ নেওয়ার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি ৯৩ নং উওর পূর্ব বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ বেনজির ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেনায়ারা খানমের ভাইরাল অডিওর বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ পুরো উপজেলা জুড়ে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
এব্যাপারে ঐ সহকারী শিক্ষক বেনজির ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ও গত ২৩ (ফেব্রুয়ারি) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।লিখিত অভিযোগে বলেন,আমি আপনার অধীনে নিয়োগ প্রাপ্ত পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন ৯৩ নং উওর পূর্ব বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত একজন সহকারী শিক্ষক।
আমার সম্মানিত শিক্ষা অফিসার জনাব মোসাঃ হেনায়ারা খানম ও আমার সম্মানীত প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন এর যোগসাজসে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আমাকে ব্ল্যাকমেইল (মানুষিক ভাবে জিম্মি) করে আর্থিকভাবে ১০.০০০(দশ হাজার)টাকা বিকাশের মাধ্যমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোসাঃ হেনায়ারা খানম এর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে (০১৭৪০৬৪৪৬২৭) প্রদান করতে বাধ্য হই এবং গত ২০(ফেব্রুয়ারি) ২০২৫ তারিখে প্রধান শিক্ষককে দেওয়ার জন্য আরো কিছু টাকা দাবি করেন। যার ফলে আমি আর্থিক, মানসিক, ও নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। একজন জাতি গড়ার কারিগর (শিক্ষক) হিসেবে আমার অভিভাবকের নিকট থেকে এমন আচরণ কখনো কামনা করিনি।
সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক বেনজির ইসলাম কর্তৃক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ হেনায়ারা খানম এর দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অডিও এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সহকারী শিক্ষক বেনজির ইসলামকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের এবং ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অডিও ভাইরালের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আপনি বিষয়টি রেকর্ড করছেন। আমি আপনাকে কোন তথ্য দিব না বলে ফোন কল কেটে দেন। এব্যাপারে ৯৩ নং উওর পূর্ব বানিয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামিল হোসেন বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। তবে আমার স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বেনজির ইসলাম তার কিছু অনিয়ম আছে এজন্য আমি তার বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষা অফিসার বরাবর এবং টি ও স্যারের বরাবর ও ডি পি ও স্যারের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছি। এছাড়া আমার কিছু জানা নাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেনায়ারা খানমকে জানতে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ট্রেনিং এ আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল কালবেলাকে জানান , নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান, এটা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানাবো।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা: হেনায়ারা খানমের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁস হয়ে ছিল যাহা বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও অনলাইন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছিল। সূত্র: যায়যায়দিন
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৩/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.