এইমাত্র পাওয়া

১০ শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হল থেকে বহিষ্কার

ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলেজের ওয়েবসাইটে অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কলেজে উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কলেজের প্রশাসনিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পারিজাত মহাজন, জয় বিশ্বাস, রিদ্ধি বড়ুয়া, আকতাব কাদির ও তার ভাই আকসাদ কাদির, রাকিবুল ইসলাম, এস এম শামারুখ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এইচ এম জাহিন মাহমুদ, মো. নাইমুল ইসলাম ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্ময় পলক।

এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল বাসেত, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মানিক সাহা, রাকিবুল হাসান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোকারম হোসেন ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাব উদ্দিন চৌধুরীকে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, কলেজের তিন বিভাগে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১০ শিক্ষার্থীকে আবাসিক ছাত্রবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগরের নেতাকর্মী মনে করেছিল কলেজে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রয়েছে এবং তারা ছাত্রাবাসে দেশিয় অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রাবাসে কলেজ প্রশাসন তল্লাশি চালাতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ প্রশাসন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরদিন মঙ্গলবার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় ঘটনা ও অভিযোগের বিষয় তদন্তে প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় জেনারেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। এরইমধ্যে বুধবার সন্ধ্যার পর কলেজ প্রশাসন ছাত্রাবাস থেকে রামদা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০২/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.