চাঁদপুরঃ স্কুল শিক্ষার্থী এক নারীর সঙ্গে স্কুল শিক্ষকের ২০১৮ সালে স্পর্শ কাতর ঘটনায় কঠোর সমালোচনা তৈরি হয় মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ঘিরে। সে সময় ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ।
বিষয়টি কেন্দ্র করে তৎকালীন গভর্নিংবডির সদস্যরা মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নেয়। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফের একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মো. মহসীন। পরবর্তীতে সেই ছাত্রীর মতলব উত্তর উপজেলায় পাশ্ববর্তী এলাকায় বিয়ে হয়। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক মহসীন নিজ এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জ গিয়ে তিনিও বিয়ে করেন। বেশ কিছুদিন সংসার করার পর ডিভোর্স হয় সমালোচনা তৈরি হওয়া সেই ছাত্রীর। গত বছরের আগস্ট-জুলাই অভ্যুত্থানের পর একই ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় লাঞ্ছিত হয় শিক্ষক মহসীন। এসব ঘটনায় মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পায়নি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মহসীন দীর্ঘ কয়েকমাস পর স্কুলে আসলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টা নাগাদ দুশ্চরিত্র শিক্ষক মহসীনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে উপজেলার লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা চলমান থাকায় আবারো স্কুল ক্যাম্পাসে তাকে দেখতে পেয়ে ক্লাস বর্জন করে সড়কে নেমে এসেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কঠোরভাবে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মহসীনের তাৎক্ষণিক পদত্যাগ দাবি করেন। পরবর্তীতে লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মহসীনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পেয়ে ক্লাসে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হক স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী , স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় বসেন।
এসময় তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত তাকে প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.