এইমাত্র পাওয়া

ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা

ঢাকাঃ ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। এসময় শিমুলতলী-শিববাড়ী সড়কে সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশের সকল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট। কিন্তু ডুয়েটের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা-কার্যক্রমের জন্য সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হল জায়গা। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত জায়গায় না থাকার কারণে আমরা ল্যাব ফ্যাসিলিটিস, টিএসসি, ক্যান্টিন সহ নানা বিষয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাই আমাদের ক্যাম্পাস দ্রুত সময়ে সম্প্রসারণ করে অসুবিধা নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জামিরুল ইসলাম জামিল বলেন, ১৯৮০ সালে ডুয়েট প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ডুয়েট নানা বিষয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন ডুয়েটের জমির পরিমাণ মাত্র ২৩ একর। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিকের জমির আয়তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডুয়েটের আয়তন কেন কম থাকবে? এসময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কি নতুন বাংলাদেশে কোন বৈষম্য চান? শিক্ষার্থীরা না, না বলে স্লোগান দেন। আমরা আজকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেব। দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবো।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ডুয়েটের উপ-উপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে ক্যাম্পাসের পর্যাপ্ত রিসার্চ ক্লাব, বর্তমানে ক্যাম্পাসের সকল ক্লাবের জন্য অফিস রুম, টিএসসি, মুক্তমঞ্চ, বিনোদন পার্ক, খেলার মাঠ, পুকুর সহ যাবতীয় সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেন ক্যাম্পাসকে দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ডুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডক্টর উৎপল কুমার জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে সম্পূর্ণ একমত। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের হল ফ্যাসিলিটিস সহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বরং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, ডুয়েটের উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় তড়িৎ কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কীভাবে ক্যাম্পাস বর্ধিত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করে সামনের পদক্ষেপ গুলো নির্ধারণ করবে ডুয়েট প্রশাসন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩০/১২/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.