গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলাধীন কামালেরপাড়া ইউনিয়নের আগ-গরগড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেখে মনে হয় যেন কোনো জেলখানা।
বারান্দা ঘেঁষে বিদ্যালয়ের সামনে দেয়াল নির্মাণ এবং মাঠ দখল করে করা হচ্ছে সবজি চাষ।বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ তো দূরের কথা বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সামনে দাঁড়ানোর মতো একচিলতে জায়গাও নেই। বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় জেলখানার বন্দিদের মতো।
ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ও সুস্থ শরীর গঠন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার আগ-গড়গড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের বারান্দা ঘেঁষে দেয়াল নির্মাণ করে বিদ্যালয় মাঠ দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি দখল করে নেওয়া বিদ্যালয় মাঠে বেড়া দিয়ে শাকসবজির চাষ করছেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের দুটি গেট করার কথা থাকলেও এক কোনে একটি মাত্র গেট রয়েছে ভবনের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবন নির্মাণের সময় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির বাঁধার কারণে ভবনটির একটি গেট করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বর্তমান সভাপতি ওসমান গণি মাঠটি ভোগদখল করছেন। ফলে ভবনটি একটি জেলখানার মতো বন্দিশালা হয়ে গেছে।
এদিকে বিদ্যালয় মাঠ দখলে নেওয়ার কারণে মাঠ সংকটে শিশু শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত, শরীর চর্চা ও খেলাধুলা হয় না। ফলে এ বিদ্যালয়ের শিশুদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ শরীর গঠনে মারাত্মক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, মাঠটি ভোগদখলকারী ব্যক্তি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীকালে অবসরে গেলে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতিও ছিলেন সেই সুবাদে তিনি মাঠ দখল করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার দরুণ শিশুদের খেলার মাঠ প্রভাবশালীদের দখলে। শিশুদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ সবল শরীর গঠনের স্বার্থে বিদ্যালয় মাঠ উদ্ধার করা জরুরি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, আমি কয়েক মাস আগে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি। যোগদানের অনেক আগে থেকেই তারা মাঠ ভোগদখল করছেন।
ওসমান গণির সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠ দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্কুলের সামনের জায়গা তার নিজের দাবি করে বলেন, স্কুলের জায়গা মোট ৫২ শতক, যা ভবনের পাশে রাস্তার উত্তর পাশে অন্যরা দখল করে আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিস সাফি বলেন, আগ-গড়গড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলাধুলার মাঠ না থাকার বিষয়টি তার জানা ছিল না। এই প্রথম জানলেন এখন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৭/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.