এইমাত্র পাওয়া

ক্লাস ক্যাপ্টেনসিই কাল হয়েছে কমার্স কলেজছাত্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিতি থাকায় রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ক্যাপ্টেন নিয়োজিত হয়েছিলেন জোবায়ের হাসান রাফিত। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সহপাঠী চৌধুরী রাজিন ইকবালের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে জোবায়ের। ক্লাসরুমে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার বাসায় ডেকে নিয়ে জুবায়েরকে হত্যা করে সহপাঠী রাজিন। এরপর তাকে পালাতে সাহায্য করে তার বাবা আইনজীবী ইকবাল আহম্মেদ চৌধুরী। পরদিন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকা থেকে রাজিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজিন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের পাশে সরকারি হাউজিং ভবনের তৃতীয় তলায় রাজিনের বাসা থেকে জোবায়েরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজিনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) লে. ক. আব্দুর রহমান বলেন, ক্লাসে দাবা খেলার বোর্ড বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজিন জুবায়েরের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ নিয়ে

তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতিও হয়েছিল। পরে কলেজ শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মীমাংসা হয় এবং অভিভাবকদের অবহিত ও সতর্ক করা হয়। এ ঘটনায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে জোবায়েরকে হত্যার পরিকল্পনা করে রাজিন। প্রায় এক মাস জোবায়েরের সঙ্গে ভালো বন্ধুর অভিনয় করে তার বাবার সহযোগিতায় বাসায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জোবায়েরকে।

হত্যার বর্ণনায় লে. ক. আব্দুর রহমান বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শনিবার দুপুরে রাজিন কমার্স কলেজের পার্শ্ববর্তী নিজ ভাড়া বাসায় জুবায়েরকে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে রাজিন জুবায়েরকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার বিষয়টি রাজিন তার বাবাকে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পূর্বেই রাজিনকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। শেষে লাশটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ অবগত হলে রাজিনের বাবাও কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে উভয়েই নির্দিষ্ট একটি স্থানে মিলিত হন। রাজিনের বাবা মাইক্রোবাসে করে ছেলেকে নিয়ে হবিগঞ্জে পালিয়ে গিয়ে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলেকে রেখে নিজে অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যান। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক।

গতকাল সোমবার রাজিন ইকবাল চৌধুরীকে আদালতে তোলা হলে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের কাছে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম রাজিনকে আদালতে হাজির করে তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার আবেদন করেন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading