ঢাকাঃ ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত যা ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
গত শনিবার রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সাতজন সেনা কর্মকর্তা নিহতের বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।
বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।
এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।
ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.