ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার উত্তীর্ণ কোটাধারীদের সংশ্লিষ্ট ফরম সংগ্রহ ও জমা দান শুরু হয়েছে। চলে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এবং ঐ সময়ের মধ্যে ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে অনুষদের অফিসে জমা দিতে হবে। কোটার আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই বিষয় পছন্দক্রম (অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা) ফরম জমা দিতে হবে।
বাকি তিন ইউনিটের ফরম সংগ্রহ ও জমা দান শুরু হলেও চারুকলা অনুষদে রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
কোটার ফরম পূরণ করার সময় যে সকল কাগজপত্র ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে:
কোটার আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই বিষয় পছন্দক্রম (অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা) ফরম জমা দিতে হবে। দলিত/হরিজন কোটার ক্ষেত্রে: জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদের সত্যায়িত ১ কপি, প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ১ কপি। প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতার সনদের সত্যায়িত ১কপি, জেলা সমাজসেবা কর্তৃক ইস্যুকৃত কার্ডের সত্যায়িত ১কপি, প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ১ কপি।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনী কোটার ক্ষেত্রে:
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধার তালিকার প্রিন্ট কপি জমা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ/ বামুস সনদের ফটোকপি এবং গ্যাজেটের ফটোকপিসহ সত্যায়িত করে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নাতি-নাতনির ক্ষেত্রে নানার এবং মায়ের সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য মায়ের এসএসসি সার্টিফিকেট/বিয়ের কাবিনের কপি জমা দিতে হবে। দাদার ক্ষেত্রে বাবার এসএসসি সার্টিফিকেট ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
এদিকে খেলোয়াড় (বিকেএসপি) কোটার ক্ষেত্রে, বিকেএসপি হতে প্রাপ্ত সনদ ও প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত কপি এবং প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি। উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে নৃগোষ্ঠী প্রধানের সনদের সত্যায়িত কপি/ জেলা প্রশাসকের সনদের সত্যায়িত কপি/ প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি।
ট্রান্সজেন্ডার/ হিজড়া কোটার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর প্রদত্ত হিজড়া পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
ওয়ার্ড কোটার ক্ষেত্রে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তির অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদেয় প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি।
প্রসঙ্গত, ঢাবিতে কোটায় ভর্তিতে মিথ্যা তথ্য/ভুয়া সনদ প্রমাণিত হলে ভর্তি হওয়ার পরও যে কোনো পর্যায়ে ভর্তি বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২৮ মার্চ চার ইউনিটের চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে গড়ে শতকরা ১১ দশমিক ০১ উত্তীর্ণ হয়েছে৷ সেই হিসেবে ফেল বা অকৃতকার্য হন শতকরা ৮৮ দশমিক ৯৯। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ঢাবির ভর্তির ওয়েবসাইট (https://admission.eis.du.ac.bd) এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.