প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে প্রাথমিক শিক্ষকরা। আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবি না মানলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা। এ সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন ডিপিই’র ডিজি।
এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সাথে দেখা করবেন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাবেন শিক্ষক নেতারা। প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো জাকির হোসেনের সাথে দেখা করতে সাড়ে ৭টার দিকে উনার বাসভবনে যাবো। সেখানে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরব। পাশাপাশি মন্ত্রী কি বলেন তা শুনব। মূলত কয়েকটি দাবি তারা আলোচনায় তুলে ধরবেন। সেগুলো হলো, শোকজ করা প্রতিটি শিক্ষকের শোকজ প্রত্যাহার, পুলিশি হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি, আগে জানানো সকল দাবি মেনে নেয়া ইত্যাদি।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ২৩ অক্টোবরের মহাসমাবেশে যোগ দেয়ায় প্রাথমিকের ২৭ শতাধিক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে যশোরের দুই উপজেলায় ১৮শ’ এবং সাতক্ষীরার এক উপজেলায় ৯শ’ শিক্ষক আছেন বলে জানান বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম। এছাড়া তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ঢাকার উত্তরার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং কোতোয়ালি থানার ১৪ জনকে একইভাবে শোকজ করা হয়েছে। সূত্রাপুরের একজনকেও শোকজ করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা আপাতত ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন না। তাদের ১১তম গ্রেডই দেয়া হচ্ছে। আর সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেড। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ উচ্চ পর্যায়ের পদগুলো আপগ্রেড হলে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেয়া হবে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.