১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডি-নথির যুগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
এস এম মোজতাহীদ প্লাবন।।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডি-নথিতে যুক্ত হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির ঢাকাস্থ কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি আজ এই অভিযাত্রার উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে ডি-নথি প্রকাশ করেন।
স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দাপ্তরিক নথি ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণে ডিজিটাল নথি কার্যক্রমে বাংলাদেশের ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডি-নথিতে প্রবেশ করলো। মোট ১৫০-এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডিজিটাল অভিযাত্রা ঈর্ষণীয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অডিটরিয়ামে আজ ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রবিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডি-নথি কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনটি বিষয়কে মটো করে একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে চলেছেন। আর ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। উপাচার্য ইউজিসিতে বাটন চেপে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রমের সূচনা করেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ''বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে অন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল নথি উদ্বোধন করায় কর্তৃপক্ষকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিকভাবে এবং সম্মুখভাগে থেকে আজকের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে।''
উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও পিএস টু ভিসি এস এম হাফিজুর রহমান, আইসিটি সেলের সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. রকিবুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজ্জাদুল কবিরসহ পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এই ডি-নথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উম্মেষ’ শীর্ষক আলোচনা করেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সম্মানিত সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়-এর সার্বিক নির্দেশনায় প্রযুক্তিবান্ধব নানা উদ্ভাবন ও সেবা তৈরির মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডি-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (দ্বিতীয় পর্ব) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।