বিশেষ সুবিধায় বাংলাদেশীদের ভিসা দিচ্ছে মালয়েশিয়ার ১৩ ইউনিভার্সিটি
নিউজ ডেস্ক।।
করোনায় ঝিমিয়ে পড়া মালয়েশিয়ার শিক্ষা খাতকে চাঙ্গা করতে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধাসহ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভিসা দিচ্ছে দেশটির ১৩টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটিতে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি জব ও নাগরিকত্বসহ নানারকম অফারে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ মালয়েশিয়ার শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কুয়ালালামপুর ইনফ্রাকচার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়ালালামপুরের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দেশটির ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী ও পরিশ্রমী তাই এই উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহিত করতে এ মাসেই বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করে পছন্দমতো ৩০০টি উচ্চশিক্ষার কোর্স থেকে পছন্দের কোর্সটি বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আগামী ১২ মার্চ ওয়েল পার্ক হোটেল চট্টগ্রাম, ১৪ মার্চ হোটেল ক্যাসেল সালাম খুলনা, ১৬ মার্চ ওয়ারিশান হোটেল রাজশাহী এবং ১৯ মার্চ সারিনা হোটেল ঢাকায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিংক ভিজিট করতে পারেন। যঃঃঢ়ং://ভড়ৎসং.মষব/কসঢ়ভ২৩মফ৪ঈবগতরঢ়৬৭ মালয়েশিয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে ও কানাডার বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরিপূর্ণ তথ্য নিয়ে এ শিক্ষামেলার এই আয়োজন করেছে এনএসএস সলিউশন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মেলায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কথা বলতে পারবে। ইভেন্ট চলাকালীন কোনো আবেদন ফি প্রয়োজন হবে না। কুয়ালালামপুরের এনএসএসের হেড অব মার্কেটিং সবুজ হোসেন বলেন, দেশের খরচে বিদেশে মানসম্মত পড়াশোনার সুযোগ তৈরি হবে এ শিক্ষামেলার মাধ্যমে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান সম্পর্কেও একটা ধারণা পাবে।
চারটি শহরে চার দিনব্যাপী এ শিক্ষামেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে স্পট অ্যাডমিশন নিলেই উপহার হিসেবে এক মাস ফ্রি থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও থাকছে ফ্রি বিমান টিকিট, মেলায় থাকছে আইএলটিএস ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে ভর্তির সুযোগ, রয়েছে স্কলারশিপও। এ ছাড়া শিক্ষামেলায় আরো থাকছে বিনামূল্যে প্রবেশের সুবিধা, ডকুমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট, টিউশন ফিসহ অন্যান্য খরচের ধারণা, বিদেশে পড়াশোনাকালীন বসবাসের জন্য কেমন খরচাদি হবে তার ধারণা, পার্ট-টাইম জব করা যাবে কি না সে সম্পর্কে তথ্য, স্কলারশিপের ওপর বিস্তারিত আলোচনা, পড়াশোনা শেষে পিআর (স্থায়ী বসবাস) সম্পর্কে তথ্যাদি এবং সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইউনিভার্সিটি কুয়ালালামপুর, ইউনিভার্সিটি সেলানগর, লিমকোকউইং ইউনিভার্সিটি এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব সাইবারজায়াসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশী। প্রতি বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আসে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউনের মধ্যে প্রায় দুই বছর নতুন করে বিদেশী শিক্ষার্থী আসতে পারেনি।
মূলত এ শূন্যতা পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কুয়ালালামপুরে প্রেস কনফারেন্সটি আয়োজন করেছে এনএসএস সলিউশন। ভর্তি ও ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ঢাকার ধানমন্ডি মমতাজ প্লাজায় এনএসএস সলিউশন এ যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনএসএসের পক্ষ থেকে মিস্টার সবুজ, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশী প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা।