প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুরঃ জেলার কমলনগর উপজেলার চরফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, কাম হিসাব সহকারী, ল্যাব এসিসট্যান্ট, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগে মোটা অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যের একটি অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে। অডিও রেকর্ডে প্রধান শিক্ষক আবু জাকের বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দোহায় দিয়ে অফিস সহকারী, ল্যাব এসিসট্যান্ট পদে ৪ লাখ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী-নিরাপত্তা প্রহরী পদে ২ লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে উক্ত পদগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাজানো পরীক্ষা বুঝতে পেরে অনেক প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। এতে নিরাপত্তা প্রহরী পদে কোরাম সংকটের কারণে ওই পদে পরীক্ষা নিতে পারেননি তারা। বাকি ৩ পদে পরীক্ষা হলেও ফলাফল গোপন রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৭ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডে শোনা গেছে তিনি নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরির জন্য ২ লাখ টাকা দাবি করেছেন। অফিস সহকারী ল্যাব এসিসট্যান্ট পদে ৫ লাখ পর্যন্ত দিতে রাজি আছে অনেকে কিন্তু আমি সভাপতির কথার বাইরে যেতে পারি না। তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের নিয়োগগুলো দিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়।
আমি চলে গেলে আপনাদের নিয়োগ হবে না।” এদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সদস্য বিল্লাহ শাহেদ মাহমুদ গিয়াস বলেন, এ নিয়োগ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এ দু’জনের সিদ্ধান্তেই হয়েছে। তারা মনগড়া রেজুলেশন তৈরি করে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেছে; আমরা সদস্যরা কেউ স্বাক্ষর দেইনি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবু জাকের বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর অভিভাবকদের টাকার কথা বলছি এটা আমার মনে হয় না। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাঘা বলেন, প্রধান শিক্ষককে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে কিছু বলিনি। প্রধান শিক্ষক যদি কিছু বলে থাকে এটা তার একক সিদ্ধান্ত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, প্রধান শিক্ষক কোনো অনিয়ম করছে কিনা জানা নেই। এখানে আমরা স্বচ্ছ পরীক্ষা নিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, এ নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তারপরও কোনো দুর্নীতির অভিযোগ এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ই নভেম্বর পত্রিকায় অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, ল্যাব এসিসট্যান্ট, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে উল্লখযোগ্য কোনো আবেদন না হওয়ায় ওই ২ পদে কোনো পরীক্ষা হয়নি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৬/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়