জাবি: পাঁচ ব্যাচে ১৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ
ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে স্নাতক-স্নাতকোত্তর মিলিয়ে পাঁচটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ১৮৩ জন। অথচ তাঁদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র শ্রেণিকক্ষ।
এই ইনস্টিটিউটে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন। তাঁদেরও বসার প্রয়োজনীয় কক্ষ নেই।
আবার নেই পূর্ণাঙ্গ সেমিনার গ্রন্থাগার ও শৌচাগার। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অচিরেই এই সংকট নিরসনের দাবি তাঁদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তখন প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ছিলেন ২৫ জন। এখন পাঁচটি ব্যাচ এসেছে। শিক্ষার্থী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩ জনে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বাড়েনি অবকাঠামো।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, শ্রেণিকক্ষে যখন একটি বর্ষের ক্লাস বা পরীক্ষা চলে তখন বাইরে অপেক্ষমাণ থাকতে হয় অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের। যার ফলে এক রকম জোড়াতালি দিয়েই ক্লাস চলছে।
বিভাগের তিনজন মাত্র শিক্ষকের সঙ্গে বাইরের শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হচ্ছে। সেমিনার কক্ষটিও এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি, নেই পর্যাপ্ত আসন। এসব সংকট দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র একটি কক্ষে ক্লাস হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্তত আরো একটা শ্রেণিকক্ষ এই মুহূর্তে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি।’
ইনস্টিটিউটের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে কালের কণ্ঠ। তাঁরা জানিয়েছেন, দিন ভাগ করে বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস নেওয়া হয়। এতে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। কিন্তু কোনো সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোনো একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। এর কারণ জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একটা প্রকল্প দিয়ে সব ধরনের চাহিদা মেটানো যায় না। প্রকল্প প্রণয়নের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী প্রয়োজন, তা সকলের কাছ থেকে জানা হলো। তখন একাডেমিক ভবনের কথা ওভাবে বলা হয়নি। তাই এ প্রকল্পে একাডেমিক ভবন রাখা হয়নি।’
তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘একটা বিভাগ চালু করার আগেই তো শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে কি না দেখা উচিত। মাত্র একটা শ্রেণিকক্ষ দিয়ে একটা বিভাগ চালু করা হয় কিভাবে!’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘এই মুহূর্তে শ্রেণিকক্ষের সংকট সমাধান করা সম্ভব না। আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে দুটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে দেওয়া হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়