কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। কর্মসূচীর মধ্যে রাত ১১.৩০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, ১২.০১ টায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের উদ্দেশ্যে দোয়া।
রাত ১২.০১ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ভাষাসৈনিকদের পদতলে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আজ ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে।
ভাষা শহীদদের রক্তে লেখা মাতৃভাষা ভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমরা পেয়েছি। আমরা সেই সকল ভাষাসৈনিককে কখনই ভুলবো না। আজকের এই একুশের লগ্নে আপনারা শহীদদের বুকে ধারণ করবেন,বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করবেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন।’
তিনি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন অনেক বড় স্বপ্ন, অনেক বড় ভবিষ্যৎ। এখানে চেয়ার আসবে আবার চেয়ার চলে যাবে। কিন্তু যে ধারাবাহিকতাটি সৃষ্টি হলো সেটা যেন অক্ষুন্ন থাকে। পৃথিবীতে যত বড় বড় কাজ হয়েছে সব ভালবাসা থেকে হয়েছে। আপনারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভালবাসার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এই যে আমাদের উপর জুলুম করে মাতৃভাষা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, এর কারণ আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নেয়া হলে মা ও সন্তানের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রদের অবদানে আমাদের মাতৃভাষা রক্ষা হয়েছিল। তাঁদের এ অবদানের কথা আমরা ভুলতে পারি না।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম শহীদ মিনারে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।