দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
এক মাদ্রাসায় দুই অধ্যক্ষ, বেতন বন্ধ শিক্ষকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুরঃ অধ্যক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। তিন মাস ধরে বেতন- ভাতা না পাওয়ায় অর্থ কষ্টে দিন কাটছে তাদের। মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ খসরু পদত্যাগ করলে ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর গভর্নিং বডি সভা করে সহকারী অধ্যাপক ওবায়েদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়। তখন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
এর মধ্যে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযোগ আনা হয়, মাদ্রাসা কমিটির দাতা সদস্য হামিদুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাকী বিল্লাহ মাদ্রাসার কোষাগারে কাম্য অর্থ বা সমপরিমাণ সম্পদ দান করেননি। এ কারণে তাদের সদস্য পদ ভুয়া উল্লেখ করে গভর্নিং বডি বাতিলের দাবি করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর পাবলিক পরীক্ষা শেষে জামাত নেতা মৌলানা হামিদুর রহমান ও জামাত নেতা আব্দুল হালিম মিয়া অধ্যক্ষ (শ্রীবরদী কামিল মাদ্রাসা) সহ তার অনুসারী কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢোকেন। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দিয়ে রেজুলেশন খাতাসহ বিভিন্ন খাতাপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ওই দিনই ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.ওবায়েদুল ইসলাম। একই দিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে না জানিয়ে গভর্নিং বডির নামে একটি সভা করে জুনিয়র শিক্ষক জামাত নেতা আবু রায়হানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়েদুল ইসলামকে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য চিঠি দেন ওই সভায় গঠিত উপ-কমিটির আহবায়ক মৌলানা হামিদুর রহমান, যা অবৈধ বলে দাবি ভুক্তভোগীর। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেরপুর সিআর আদালতে মামলা হয়। পরে ছিনিয়ে নেওয়া কাগজপত্র উদ্ধারের জন্য চারজনের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট (এস ডবি্লউ) জারি করেন আদালত।
পদ নিয়ে বিবাদের কারণে গত বছরের নভেম্বর মাসের বেতন- ভাতার বিল দাখিল করলেও সই করেনি গভর্নিং বডির সভাপতি ও এডিএম মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ। তখন থেকেই বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না মাদ্রাসাটির শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে বদলি হয়ে গেছেন তিনি।
হিসাব সহকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, বেতন-ভাতা না পাওয়ায় খুবই কষ্টে আছি। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য আব্দুল ওয়াহাব বলেন, গভর্নিং বডিতে কাম্য অর্থ না দিয়ে অবৈধ দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছেন। তাদের সদস্য পদ বাতিলের জন্য আদালতে মামলা করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় জুনিয়র শিক্ষক জামাত নেতা আবু রায়হানের সঙ্গে। তিনি বলেন, গভর্নিং বডি আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়েদুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নীতিমালা অনুযায়ী, আমি দায়িত্ব পালন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমি তা মেনে নেব।
গভর্নিং বডির সভাপতি এডিএম মনিরুল হাসান জানান, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দেবে। যত তাড়াতাড়ি তারা চিঠি আনতে পারবেন তত তাদের জন্য ভালো হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/০২/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর