শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। আর রমজান মাসে হাইস্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রমজান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুল ও কলেজে শুরু হচ্ছে রোজার ছুটি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই দিনে রোজার ছুটি শুরু হলেও একদিন আগে শুরু হবে মাদরাসার ছুটি। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোজার ছুটি শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা উপায়ে এ দাবির পক্ষে সরব হয়েছেন তারা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সংগঠনগুলো। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছুটি সমন্বয় করতে অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, করোনায় পিছিয়ে পড়ায় শিখন ঘাটতি কাটাতে এবার রোজার ছুটি কমিয়ে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনের নেতাদের লিখিতভাবে রোজায় ছুটির দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটি সমন্বয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসলে আমরাও প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে ছুটি দেব।
তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোজার ছুটি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও আজ আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল এ বিষয়টি নিয়ে যানা যেতে পারে। তবে অধিকাংশ কর্মকর্তারাই অন্যান্য শিক্ষা দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ছুটি দেওয়ার পক্ষে।
রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি নিশ্চিত করতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিল রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ অভিভাবকের সন্তান প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন। ছুটি ভিন্ন হওয়ায় পারিবারিক ভ্রমণ, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটে। বেশ কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শাখা আছে, তাদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু আছে। এসব বিদ্যালয়েও পাঠদানে সমস্যা দেখা দেয়।
তারা আরও বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি নির্ধারণ খুবই জরুরি। এ দাবির পক্ষে আমাদের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের কাছে লিখিত আবেদন দাখিল করা হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৪দিন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৬ দিন ছুটি রয়েছে। তাই, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ৭৬দিন ছুটি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়