শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ৪৭ শতাংশে। নিত্যপণ্যের দাম এত বেড়েছে যে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নাগরিকরা। এমতাবস্থায় ঘুষ খাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কাছে চিঠি লিখেছেন দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা। মাসে এক লাখ ২২ হাজার ৯২২ রুপি বেতন পাওয়া ওই সরকারি কর্মকর্তার চিঠি ফাঁস হতেই তোলপাড় চলছে পাকিস্তানজুড়ে।
ডেইলি পাকিস্তান ও পাকিস্তান টুডে জানিয়েছে, বেতন কম হওয়ায় দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে দুর্নীতিতে যুক্ত হতে চেয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউর (এফবিআর) কর্মকর্তা যে চিঠি লিখেছেন, তা ইতোমধ্যে সোশালে ভাইরাল হয়ে গেছে। যদিও ওই চিঠির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে ওই কর্মকর্তা জানান, মাসে এক লাখ ২২ হাজার ৯২২ রুপি বেতন পান তিনি। এর মধ্যে বাড়িভাড়ায় খরচ হয় ৩৫ হাজার ৮৯৮ রুপি। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে হিসাবটা মোট এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ রুপির। পাশাপাশি একজন বাবা হিসেবে, স্বামী হিসেবে এবং সমাজের অংশগ্রহণমূলক ব্যক্তি হিসেবে আরও খরচ রয়েছে তার। কিন্তু বেতন কম হওয়ায় তিনি এসব সামাল দিতে পারছেন না। একজন আইআরএস অফিসার হয়েও বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে হচ্ছে।
তার ভাষ্যমতে, দুর্নীতিতে যুক্ত হলে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করা যাবে। ফলে সহজেই মিটবে ন্যূনতম দৈনন্দিন চাহিদা। তিনি আগামী ০১ এপ্রিল থেকে দুর্নীতি শুরু করার অনুমতি চেয়েছেন।
অবশ্য চিঠিতে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রিয় দেশের বিপজ্জনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি অবগত। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা ফেরাতে শেহবাজ সরকার চেষ্টার ত্রুটি করছে না। একইসঙ্গে কর কর্মকর্তা হিসেবে চার বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়াননি বলে দাবি করেন তিনি। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্নীতি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছেন না।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়