ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সঙ্গে সমতুল্য অনার্স সনদ দাবি শিক্ষার্থীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির পাশাপাশি স্নাতক অনার্স (সম্মান) সনদ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দাবি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান কারিকুলাম অনুযায়ী স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ প্রদান করা হয়। স্নাতক অনার্স সনদ না থাকায় বিসিএসসহ (শিক্ষা) বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তারা। তারা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির পাশাপাশি বিএসসি ডিগ্রি প্রদানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অনুষদীয় সভায় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৬তম একাডেমিক কাউন্সিলে সমতুল্য ডিগ্রি প্রদানের বিষয়টি পাস এবং ২৫৯তম সিন্ডিকেটেও অনুমোদিত হয়। আমরা সে অনুযায়ী বিসিএস, শিক্ষক নিবন্ধনসহ অন্যান্য চাকরিতে আবেদন করি। পরবর্তীতে সমতুল্য সনদপত্র উত্তোলন করতে গেলে জানতে পারি ১২৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা যদি সমতুল্য সম্মান সনদপত্র না পাই তাহলে সকল চাকরির আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে উক্ত সুবিধা থেকে বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং সনদের সাপেক্ষে স্নাতক (সম্মান) সমতুল্য সনদপত্র প্রদান করা হয় বলে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি নিয়ে দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। এ সময় উপাচার্য কার্যালয়ে না থাকায় তারা তার বাসভবনের সামনে যান। সেখানে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন প্রশাসনের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি নিয়ে এলে আমি গ্রহণ করে উপাচার্যের একান্ত সচিবকে দিয়েছি। পরবর্তীতে উপাচার্য স্যারকেও বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, যেহেতু একাডেমিক কাউন্সিলে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। তাই বিভাগ ও অনুষদের মাধ্যমে আবারও বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে এলে এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ আল রেজা বলেন, শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্র প্রসার হোক আমরা এটাই চাই। বিভাগ ও অনুষদের পক্ষ থেকে একাডেমিক কাউন্সিলে যাওয়ার পর সেখানে ও সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর আবার পরের একাডেমিক কাউন্সিলে কেন বিষয়টা বাতিল করতে হলো এটি আমার জানা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আবারও বিষয়টা একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি এখনো কোনো স্মারকলিপি বা আবেদন পাইনি। তবে শুনেছি। আগে একবার অনুমোদনের পর আবার কেন বাতিল করা হলো এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করবো। আইনগত বাধা না থাকলে প্রয়োজনে আবারো একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হবে।
বিভাগটিতে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক অনার্স ডিগ্রি প্রদান করা হতো। পরবর্তী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেওয়া শুরু হয়।
শিক্ষাবার্তা/জামান/০১//০৫/২৪