শিক্ষাঋণ পাচ্ছে ১৫০৮ বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০৮ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন কেনার জন্য বিনা সুদে শিক্ষাঋণ দিবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর আগে ইউজিসি দরিদ্র, অসচ্ছল শিক্ষার্থী যাদের স্মার্টফোন নেই, তাদের স্মার্টফোন কেনার জন্য শিক্ষাঋণের ঘোষণা দিয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় বশেমুরবিপ্রবির ১৫০৮ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাঋণ পাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. মোঃ শরাফত আলী।
তিনি বলেন, "শিক্ষাঋণ প্রদানের জন্য আমরা ১৫০৮ জন শিক্ষার্থীর নামের তালিকা দিয়েছিলাম ইউজিসিকে। সফট লোন প্রদানের জন্য ইউজিসির পক্ষ থেকে একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী আগামী রবিবার (১৫ নভেম্বর) ঋণ প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
" ইউজিসির সফট লোন বিষয়ক নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, “ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যে তালিকা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদেরকে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কি-না তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের আলোকে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে।” নীতিমালায় সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
তাছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ এর মধ্যে ঋণ গ্রহীতা শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচার সফটলোন অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিবের নিকট জমা দিতে হবে। ঋণ পরিশোধের বিষয়ে নীতিমালা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে কিংবা অধ্যয়নরত সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন নগদ পরিশোধ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা শিক্ষার্থীকে। অন্যথায়, সম্পূর্ণ ঋণের অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতা শিক্ষার্থীর নামে কোনো প্রকার ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক বা মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
উল্লেখ্য, ইউজিসি আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিলে বশেমুরবিপ্রবি থেকে সর্বপ্রথম প্রায় ৩১০০ শিক্ষার্থীর নামের তালিকা প্রদান করা হয়। কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫% শিক্ষার্থী সফট লোনের আওতায় থাকতে পারবে বলে জানায় ইউজিসি। এরই প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই করে সর্বশেষ ১৫০৮ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রেরণ করা হয়।