শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অভিভাবকদের ভূমিকা
আব্দুল কাদের ফকির।।
নতুন শিক্ষাক্রমে জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের ওপর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে সব ক্লাসে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রথম বছর নতুন এই কারিকুলাম বুঝতে একটু সময় লাগলেও দ্বিতীয় বছর এসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের সব উপজেলায় শিক্ষকদের প্রথমে পাঁচ দিন এবং সাত দিন মোট ১২ দিনের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
একজন অভিভাবক হিসেবে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ, অভিভাবকদের সচেতন ও সঠিক দিকনির্দেশনার ওপর সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেন, একসঙ্গে খাবার খেতে খেতে বিদ্যালয়সহ পরিবারের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এর মাধ্যমে অভিভাবক ও সন্তানদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
যার কারণে সন্তানদের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সচেতন অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন। সন্তানের সামনে শিক্ষক বা অন্য কারও সমালোচনা করেন না এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সন্তানদের ঘাটতি জেনে নিয়ে তা পূরণে সচেষ্ট থাকেন।
সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে দেখতে চাইলে সচেতন অভিভাবকদের মতো ভূমিকা পালন করতে হবে। আসুন, সন্তান নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকে কিনা, তা দেখভাল করি। সন্তানকে সময় দেওয়া এবং সন্তানের সঙ্গে খেলাধুলা, নিজেদের পাশাপাশি সন্তানকে দিয়ে বাসার ছোট ছোট কাজ করানো, ভালো কাজের প্রশংসা, মন্দ কাজ পরিহার করতে বলা; সন্তানকে সততা, নৈতিকতা এবং বড়দের সম্মান করতে শেখানোর মাধ্যমে আমাদের সন্তান একজন সুনাগরিক হিসেবে সমাজ, দেশ তথা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। তাতেই হবে নতুন কারিকুলামের সার্থকতা।
লেখা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মিরপুর, ঢাকা
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৪/০৫/২৪