শিক্ষককে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে নিজের বিয়ে ঠেকাল স্কুলছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ জেলার শ্রীপুরে প্রধান শিক্ষককে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছে নাদিয়া নামে এক স্কুলছাত্রী। নাদিয়া শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্কুলছাত্রী নাদিয়া (১৬) ওই গ্রামের নূরুল হুদার মেয়ে। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামকে মেসেঞ্জারে এসএমএস লিখে সাহায্য কামনা করে। নাদিয়া লেখে, ‘স্যার আমি নাদিয়া। প্লিজ, স্যার আমাকে হেল্প করেন। আমার আব্বু-আম্মু আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দিচ্ছে। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, বাণিজ্য শাখায়। আমার রোল ১।’ এরপর শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানান।
ভুক্তভোগী নাদিয়া বলেন, জোরপূর্বক আমাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বাড়িতে বিয়ের সব প্রস্তুতি চলছিল। আমি পাশের বাড়ির একটি মোবাইল ফোন থেকে আমার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে সহযোগিতা চাই। এরপর প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বিয়ে ভেঙে গেছে।
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, মেসেঞ্জারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়ার মেসেজের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের জানাই। পরে প্রশাসনের সহায়তায় বিয়ে বন্ধ হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন সব সময় সজাগ রয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১০/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়