অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত এবং শুক্রবারও প্রয়োজনে খোলা রাখার হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব শিক্ষাবার্তা'য় পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের তালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কোনো দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর নজির বিগত সরকারগুলোর আমলেও দেখা যায়নি। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন।
তারা বলেন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণ চিকিৎসা নেয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। ছুটি-ছাটা নিয়ে আচমকা সিদ্ধান্ত নেয়ায় স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের , অথচ সে দিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেয়া নির্ধারিত ছুটিগুলো সমন্বয় করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৫/২০২৪