ভালোবাসা নয় একদিন,ভালোবাসা প্রতিদিন
আল্লাহপাক-তার রহমতকে একশ’ভাগে ভাগ করেছেন। সেখান থেকে মাত্র একটি ভাগ রহমত প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য। আর ৯৯ভাগ রহমত আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। সেটা তিনি ব্যবহার করবেন হাশরবাসীদের জন্য।
আল্লাহ প্রদত্ত একটি মাত্র রহমতের কারণে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনসহ পরস্পরের প্রতি ভালবাসা পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি ভালবাসার দাবিদার
আল্লাহ ও রাসুল। মুমিনের সাথে আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে ভালবাসা হলো ঈমানি ভালবাসা। আর মা-বাবা, সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ পরস্পরের প্রতি ভালবাসা হলো স্বভাবজাত। স্বভাবজাত কারণে আমার একে অপরকে ভালবাসি। আল্লাহ সৃষ্টি থেকে এটিকে আমাদের মজ্জাগত ব্যাপার করেছেন।
আল্লাহ ও রাসুলকে আামদের ভালবাসতে হবে ঈমানি চাহিদার কারণে। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি সত্যিকার ভালবাসা না থাকলে আমরা ঈমানদার হতে পারবো না। তাই কোরআন শরীফে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন “বান্দা তোমরা যদি আমাকে মহব্বত কর। তাহলে তোমরা আমার নবীর অনুসরণ কর”। নবীর অনুসরণের মাধ্যমে নবীর ভালবাসা ও আল্লাহর ভালবাসা একত্রে আদায় হয়ে যাবে।
কারণ: নবীজী নিজের পক্ষ থেকে উম্মতকে কোন কথা বলেন না। নবী যাই বলেন, সবগুলো আল্লার কাছ থেকে ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত। নবীর মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দেন আল্লাহ। রাসুল যা আমাদের আমল করতে বলেছেন তা করতে হবে। যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করতে হবে।
নবীর অনুসরণের একমাত্র পথ হলো কোরআন এবং হাদিস। কোরআন, সুন্নাহ যদি আমরা অনুসরণ, অনুকরণ করতে পারি, আদেশ নিষেধ মেনে চলতে পারি–তাহলে নবীর অনুসরণের হক আদায় হবে। একইসাথে মহব্বতের হক আদায় হবে। নবীর মহব্বতের হক আদায় হলে আল্লাহর মহব্বতের হকও আদায় হবে। আল্লাহ আামদের মধ্যে ঈমানের বীজ বপন করেছেন নবীর মাধ্যমে। তাই আল্লাহ ও রাসুলকে মনে-প্রাণে ভালবাসতে হবে।
মানুষ মানুষকে অবদানের কারণে ভালবাসে।মানুষ হলো ইনসানের গোলাম। অর্থাৎ- “নুন খাই যার, গুণ গাই তার”।যার কাছ থেকে কিছু পেলাম, তার প্রশংসা করতে হবে, শোধ করতে হবে।মা- বাবা আমাদের দুনিয়ায় আসার কারণ। তাদের ভালবাসতে হবে। তাই কোরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ ঈমানের পর মা-বাবার হক আদায়ের কথা বলেছেন। তাই মা-বাবাকে জীবিত অবস্থায় খেদমত করার পাশাপাশি মৃত্যুর পরও তাদের কবর জিয়ারত, দোয়া ও ইছালে সওয়াবের মাধ্যমে তাদের হক আদায় করতে হবে।
আল্লাহপাক কোরআন শরীফে অনেকবার উল্লেখ করেছেন, “মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ, নেয়ামতের শোকর গুজার করে না”। আল্লাহর নেয়ামতের শোকর গুজার করে আমরা শেষ করতে পারবো না।
তাই ভালবাসা দিবসের নামে নির্দিষ্ট দিনে আমরা যেন অসামাজিক কিংবা ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত না হই। ভালবাসা নয় একদিন, ভালবাসা প্রতিদিন, প্রতিটি সময়। আল্লাহপাক আামদের সকলকে ভালবাসা বোঝার তৌফিক দান করুন-
আমিন।