ভালুকায় ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় কলেজ ছাত্র খুন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় সাঈম খান (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন। নিহত সাঈম খান হবিরবাড়ি গ্রামের সিডষ্টোর বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে ও শ্রীপুর আব্দুল আউয়াল ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
গতকাল রবিবার (৪ জুলাই) রাতে উপজেলার মেহেরাবাড়ি পশ্চিমপাড়া এ্যাপারেল চৌরাস্তায় সংঘর্ষে প্রথমে আহত হন সাঈম খান। এরপর রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার (৫ জুলাই) সকালে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ি গ্রামের আমান উল্ল্যাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্ল্যাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও সোলমানের ছেলে মনির (২৪)-কে জড়িয়ে ফেসবুকে 'নেশাখোর' মন্তব্য করে একটি পোস্ট দেন একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৫)। এরই জের হিসেবে রবিবার সন্ধ্যায় মিরাজের বিচার করার জন্য মনির মোবাইল ফোনে নিহত সাঈম খানসহ ৭-৮ জনকে ডেকে আনেন। এসময় দুইপক্ষের কথা কাটাকাটির এক পযার্য়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে সাঈম খান ও মিরাজ আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান।
নিহত সাঈম খানের চাচা আফাজ উদ্দিন খান জানান, আমার ভাতিজাকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
আহত মিরাজের বড় বোন সুইটি আক্তার জানান, রবিবার দুপুরে দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়ি এসে তার ভাইকে মারধর করে চলে যান। রাতে এ ব্যাপারে সালিশ হলে সেখানেও আমার ছোট ভাই মিরাজকে মারধর করলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদল ইসলাম জানান, ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধিন এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।