ব্যস্তনগরী ঢাকা শহর এখন ফাঁকা
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
ঢাকায় নেই চিরচেনা যানজট। রাজপথগুলোয় নেই তেমন যানবাহনের ছোটাছুটি। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় মানুষের উপস্থিতিও অনেক কম। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা ঘুরে দেখা গেল এ এক অচেনা দৃশ্য। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নগরীর যেসব ব্যস্ততম সড়কে ট্রাফিক পুলিশকে ঘাম ঝরাতে হয়, সেসব সড়কে তাদের অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে হয়। অন্যদিকে যানজট তীব্র না হওয়ায় ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে সময় লাগছে কম।
রিকশার শহর হিসেবে বিখ্যাত রাজধানী ঢাকা। মোটরগাড়ি এই শহরের পথে নামার পর রিকশা দিন দিন সংকুচিত হতে হতে অলিগলিতে সীমাবদ্ধ হয়েছে। বাস, ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিকশা, মোবাইল অ্যাপে চলা গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ সব গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় আবার রিকশাই ভরসা।
গতকাল দুপুরে কমলাপুরে দেখা গেল, এই সড়কে তিন-চারটি রিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন নেই।
'লকডাউনের' ঢাকা শহর ঘুরে দেখা গেছে, মোটরচালিত যান বলতে অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি চলছে। হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় গণমাধ্যমের কিছু গাড়ি এবং প্রাইভেটকার। ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠের বিপরীতে দেখা যায়, নগরবাসীকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করে পুলিশের গাড়ি থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এর আগে সকালে সেনাবাহিনীর গাড়িও টহল দিয়ে যায় এ এলাকায়। যারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে এসেছিলেন তাদের ফেরত পাঠানো হয়। শংকরে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া আর সব বন্ধ।
শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণপ্রান্তে দেখা যায় তিনটি খালি রিকশা দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। এর একটির চালক জানালেন, গত দু'দিন বের হননি। হাত খালি হয়ে যাওয়ায় আর থাকতে না পেরে বের হয়েছেন। কিন্তু যাত্রী নেই। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় যাত্রী পেয়েছেন চারজন। ভাড়া পেয়েছেন ২৮০ টাকা। এর মধ্যে ১০০ টাকা চলে যাচ্ছে মালিকের জমায়।
তেজগাঁওয়ে নাবিস্কোতে দেখা যায় সড়কের পাশে পার্ক করে রাখা হচ্ছে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুট ও দূরপাল্লার বাস। মহাখালী টার্মিনালের অভ্যন্তরে শুয়েবসে দিন পার করছেন বাসের চালক-শ্রমিকরা।