বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এমপিওভুক্ত করার দাবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গত ১৩ জানুয়ারি (বুধবার), ২০২১ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় রাঙামাটি প্রেসক্লাবে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত মানসম্পন্ন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সমূহকে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায়’ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এমপিও আন্দোলন ফোরামের মুখপাত্র প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলো প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক অতিক্্রম করতে চলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রায় ৭৫% প্রশিক্ষণ বেসরকারি টিটি কলেজ দিয়ে আসছে। অথচ দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত বেসরকারি টিটি কলেজকে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কর্মরত শিক্ষকদের দেশ-বিদেশের ট্রেনিং এর আওতায় আনা হয়নি।
যুগ যুগ ধরে বেসরকারি টিটিসিকে পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ আমরা শিক্ষকদেরও শিক্ষক। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এমপিও হয়ে যাচ্ছে আর আমাদেরকে এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য যুগ যুগ আন্দোলন করতে হচ্ছে যা অতীব দুঃখজনক, অপমানজনকও বটে।
তিনি আরো জানান যে, কোভিড-১৯ এ বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এ যাবত কোনো বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে করোনা সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিগত ১৭/৩/২০২০ থেকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের সকল প্রকার আয়ের উৎসও বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন ২০২০ সালের সমিতির আয়-ব্যয়ের বার্ষিক রিপোর্ট ও ২০২১ সালের বার্ষিক পরিকল্পনা পেশ করেন। বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে রাঙামাটির বিভিন্ন নয়নাভিরাম লোকেশন ঘুরে দেখেন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এর শিক্ষকবৃন্দ।