বেরোবিতে বঞ্চিত প্রার্থীকে চাকরি দিতে হাইকোর্টের রুল
নিয়োগ বঞ্চিত মো. হায়দার আলীকে কেন পুনঃনিয়োগ দেওয়া হবে না এবং কেন তার ওই পদে চাকরিরত ব্যক্তির নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের এক বেঞ্চ মো. হায়দার আলীর করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত বিষয়ে রুল ও নির্দেশনা জারি করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি। হায়দার আলীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হাসনাত কাইয়ুম। তিনি মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
রিটের পিটিশনের বিবরণে জানা যায় মো. হায়দার আলী অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হিসাবে সকল যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তার পরিবর্তে বাহিরের প্রার্থী মো. হুমায়ূন কবীরকে সেকশন অফিসার/অফিস ম্যানেজার পদে ১৬ মে ২০১৯ নিয়োগ প্রদান করে তৎকালীন উপাচার্যের নেতৃত্বাধীন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মো. হায়দার আলী প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস ম্যানেজার হিসেবে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলে কর্মরত ছিল কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে এই সেলের জনবলকে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৩টি কার্যালয় স্মারক পত্র প্রেরণ করে। সে মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় কিন্তু সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও হায়দার আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বঞ্চিত হায়দার আলীর।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘রুল জারি সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমরা এখন পর্যন্ত পাই নি। তবে হাইকোর্ট থেকে কোনো নির্দেশনা এলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’