প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মাউশি
নিউজ ডেস্ক।
করোনা মহামারীতে ফের বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সকল শিক্ষককে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি নির্দেশনাও রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই নির্দেশনার অপব্যবহার করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান। এসব প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কোনো কাজ না থাকার পরও প্রধান শিক্ষকের আদেশে অধিকাংশ সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও এমপিওভুক্ত বিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ জার্নালের কাছে এমন অভিযোগ এসেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষিকা বলেন, প্রধান শিক্ষকের পছন্দের শিক্ষককে স্কুলে আসতে হয় না। তারা দিব্যি প্রাইভেট-কোচিং পরিচালনা করছেন। অথচ আমার ছোট্ট শিশুকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হচ্ছে। এমনকি এসে কোনো কাজও নেই। তাহলে সরকারি নির্দেশনা মানা হলো কোথায় বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ বিষয়ে রিজিয়া সুলতানা নামের এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে ভর্তি কার্যক্রমের সময় আমরা নিয়মিত এসে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এরমধ্যেও আমাদের অনলাইন ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এরপরও আমাদেরকে সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এমনকি আসতে দেরি হলে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হচ্ছে।
অপর এক শিক্ষিকা বলেন, সরকারি ছুটির মধ্যেও আমাকে সিক লিভ নিতে আদেশ করেছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু ছুটির মধ্যে সিক লিভের কী যৌক্তিকতা আছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের আগে একটি নির্দেশনা দেয়া ছিলো। এই নির্দেশনা এইবারও বহাল থাকবে। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি মনে করেন শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।
ছুটির মধ্যে ছুটির আবেদন যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে বলেন, এর অর্থ এই নয় কোনো প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন। যদি কোনো অন্যায় বা ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ আসে এই বিষয়ে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ছুটি ছিল, সেই ছুটি এবার ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।