করোনায় আয় কমেছে ৬৬ শতাংশ মানুষের
নিউজ ডেস্ক।।
করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের ৬৫ দশমিক ৭১ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। ৩৭ দশমিক ১৪ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে খাদ্যসহ দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও খাদ্য গ্রহণে প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল নিয়ে এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে শুরু করলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু করেছে। এতে আয় কমে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খাদ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও দক্ষিণ এশিয়া, ইকো কো-অপারেশন কর্মসূচির পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
এ সময় জরিপের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ। এছাড়া আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি অস্বাভাবিক সময় পার করছি। মানুষের আয় কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে, যার প্রভাব দেশের বাজারে পড়ছে। দাম কমানোর জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে। নাজনীন আহমেদ সমস্যা
সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় কিছু বিষয় তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তাকে নাগরিকের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করা, খোলা বাজারে চাল বিক্রি বাড়ানো, আগামী এক বছরের জন্য এলাকাভিত্তিক কয়েকটি স্থায়ী খোলা বাজারে বিক্রির জন্য দোকান বা স্টোর তৈরি করা, টিসিবির বিক্রির সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন তিনি।