এক শিক্ষা বোর্ড থেকে ১০ লাখ হাফেজ
ঢাকাঃ পাকিস্তানের একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন অন্তত ১০ লাখ শিক্ষার্থী। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান নামের বোর্ডটি সরকারের স্বীকৃতি পায় ১৯৮২ সালে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি শিক্ষা বোর্ড।
পাকিস্তানজুড়ে ১০ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা এবং প্রায় ৮ হাজার ইকরা স্কুল এই বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। বোর্ডটি দেওবন্দের চিন্তাধারায় পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি বোর্ডটির সভাপতি, মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ জলন্ধরি সাধারণ সম্পাদক।
১৯৮২ সালে সরকার কর্র্তৃক স্বীকৃতি লাভের পর থেকে এই বোর্ডের অধীনে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছেন। স্টার্টাপ পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, শুধু ২০২২ সালে এই বোর্ড থেকে ১৬ হাজার ছাত্রীসহ ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে, এই বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে চার বছরের কম বয়সী শিশুদের ভর্তি করা হয়। তারা মাত্র সাধারণত দুই বছরের মধ্যে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে। কোরআন মুখস্থ ছাড়াও এই শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, উর্দু, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান।
বেফাকুল মাদারিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ জলন্ধরি বার্ষিক হাফেজে কোরআনের সংখ্যা সৌদি আরবের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আরবি পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা না হলেও সৌদি আরবের তুলনায় পাকিস্তানের বেশি শিশু কোরআন মুখস্থ করছে। তিনি তুলে ধরেন যে সৌদি আরবে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ হাজার মানুষ হাফেজে কোরআন হয়।
হানিফ জলন্ধরি উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান বেফাকের প্রচেষ্টা সৌদি সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও পদ্ধতির প্রশংসার পাশাপাশি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিতও করেছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩১/০৫/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়