নামেই শুধু কারিগরি বিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক।।
বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কারিগরি বিষয় পাঠদান বন্ধ হয়ে আছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা কারিগরি বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে এটি শুধু নামেই কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়।
বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯৬৫ সালে চৌমুহনী শহরের চৌরাস্তা সংলগ্ন স্থানে সরকারি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। স্থাপনকালে ঐ বিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে। মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণ বিষয় ছাড়াও হাতেকলমে শিক্ষাগ্রহণের জন্য কাঠের কাজ, লোহার কাজ, জ্যামিতিক ও কারিগরি অংকন বিষয় চালু ছিল। কিন্তু এখন কারিগরি কোনো বিষয়ে পাঠদান করা হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছানা উল্যা জানান, কারিগরি বিষয়সহ অন্য সকল বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস চলা অবস্থায় ২০০১ সালের পর থেকে কারিগরি বিষয়ের শিক্ষক শূন্যতা সৃষ্টি হয় এবং ২০০৫ সালে কারিগরি বিষয়ের সর্বশেষ ব্যাচ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এরপর থেকে কারিগরি বিষয় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে বিশালাকার সি টাইপের কর্মশালা ছিল তা অযত্ন- অবহেলার কারণে দরজা-জানালা ভেঙে গেছে, ভবনও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে। যন্ত্রপাতিও অনেক খোয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই। প্রধান শিক্ষকের আবাসনের যে ভবন রয়েছে, তা বসবাসের উপযুক্ত নয়। অবশ্য ছাত্রাবাস রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর সংস্কার নেই। ঝরে পড়ছে রং ও প্লাস্টার। এর মধ্যেও কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রাবাসে থাকে। বিদ্যালয়ের উচ্চমান সহকারী , নিম্নমান সহকারী না থাকায় দাপ্তরিক কাজে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষক ২৫ জনের স্থলে ২০ জন থাকলেও কোনো রকমে পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আবাসন সংকটের কারণে অনেক শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে সীমানা দেওয়াল নেই। বাকি তিন দিকে সীমানা দেওয়াল থাকলেও তা নিচু। ফলে মাদকসেবীসহ বহিরাগতরা প্রায়ই দেওয়াল টপকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে। বিদ্যালয়ের মাঠে উঁচু-নিচু আর গর্তে ভরা। এতে কোনো প্রকার খেলাধুলা করা যায় না। তাছাড়া সরকারি অনেক অনুষ্ঠান এ মাঠেই হয়ে থাকে। অথচ কেউ এদিকে নজর দিচ্ছে না।