ফেসবুকে মন্তব্য করায় ১০ শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ
অনলাইন ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করার অভিযোগে ১০ শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নোটিশের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। নোটিশে শিক্ষকদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির খসড়া গ্রেডেশন তালিকা প্রকাশের পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর শেয়ার করা এবং ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করায় এ নোটিশ দেয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘সিনিয়র শিক্ষক’ পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ভোরের কাগজ পত্রিকা থেকে ফেসবুক আইডির মাধ্যমে খসড়া গ্রেডেশন তালিকা নিয়ে কিছু নেতিবাচক পোস্ট/সংবাদ শেয়ার করা হয়, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
‘এ অবস্থায় সামাজিক যোগগাযোগ মাধ্যম/ভোরের কাগজে প্রকাশিত এ ধরণের নেতিবাচক পোস্ট/প্রকাশিত সংবাদ শেয়ার করার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে বিষয়ে পরিচালকের (মাধ্যমিক) কক্ষে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।’
যে ১০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- খুলনার কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ওমর ফারুক, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মো. আকতারুজ্জামান, বরগুনা জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হারুন অর রশিদ, সিরাজগঞ্জের বিএল গভ: হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সম্রাট সাইফুল, চাঁদপুর গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সরকারি কে জি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) আমিনুর রহমান, হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলার রাজার বাজার সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আবু ইসহাক চৌধুরী, ঢাকার শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) ইলিয়াছ আহম্মেদ এবং নীলফামারী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রেজওয়ানুল কবির।
মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গণমাধ্যমের একটি রিপোর্ট নিয়ে একজন শিক্ষক অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ প্রচারের ফলে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যতা ও ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে অধিদপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন মাহবুব সালমী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারি চাকরি করায় অনেক বিষয়ে কথা বলা যায় না। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান তিনি।