শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যবসাও লোকসানে
অনলাইন ডেস্ক ||
দেশে রাইটিং ও প্রিন্টিং কাগজের বড় অংশের যোগানদাতা পারটেক্স পাল্প ও পেপার মিলস। বছরে ১ লাখ টন উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও, করোনায় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় চাহিদা কমে যায় আশঙ্কাজনক হারে। ফলে, উৎপাদন নামিয়ে আনতে হয়েছে অর্ধেকের নিচে।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, শিক্ষাকেন্দ্রিক কার্যক্রমে বছরে কাগজের চাহিদা প্রায় ৬ লাখ টন। কিন্তু, মহামারিতে তা নেমেছে ২ লাখে। উৎপাদনের বাইরে খাতা তৈরি, বাইন্ডিংসহ অন্যান্য কাজে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও একই রকম।
করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুদ্রণ শিল্পেও। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি জানায়, গাইড ও সাজেশন মিলিয়ে বেসরকারিভাবে বছরে প্রায় ৭০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হতো। কিন্তু এবার চাহিদা নেই সেসবের। ফলে, গেলো নয় মাসে আনুমানিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।
বই খাতার বাইরে, স্টেশনারির ব্যবসাও নেমে আসে এক চতুর্থাংশে। এই খাতের বড় প্রতিষ্ঠান আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন জানান, স্কুল কলেজে স্বাভাবিক অবস্থা না এলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।
শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত ভাসমান হকারদের অবস্থাও শোচনীয়। হকার্স ইউনিয়নের হিসাবে, কাজ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ শতাংশ।