শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি না হওয়ার কারন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলন করলেও জাতীয়করণই সবার দাবী। মানসম্মত শিক্ষার জন্য জাতীয়করণ সময়ের দাবী। শিক্ষকদের এ দাবীর সাথে সহমত পোষণ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। গতকাল রাতে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহম্মদ কাদের জাতীয়করণ বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ না করার কারণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘স্কুল করার একটা নিয়ম আছে। অনেকে সেই নিয়ম মানেননি। যেখানে সেখানে যখন তখন একটা স্কুল খুলে ফেলেছেন। হয়তো ছাত্র-ছাত্রীই নাই সেখানে। এরকমও আছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শিক্ষকের সংখ্যাও বেশি। নিয়মটা স্কুল এবং মাদরাসা সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।’
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সবাইকে শিক্ষা নীতিমালার মধ্যে আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ সরকার চায় দেশ আরও এগিয়ে যাক।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অটোপ্রমোশনে দেশব্যাপী সৃষ্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়াতেও নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘অটোপ্রমোশনের ব্যাপারে আমি বলবো- আগেতো আমাদের সেমিস্টার সিস্টেম ছিলনা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে এই সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। কাজেই সারা বছর তারা যে পরীক্ষা দিয়েছে সেটার ভিত্তিতেই একটা রেজাল্ট দেয়া। এটাতো ইংল্যান্ডও দিয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশই দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়, তা নয়।’
তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন, একদিন বসে লিখে পাস করেও সে পাসই পাস আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়ে যে রেজাল্ট সে রেজাল্ট কিছু না এটাতো হতে পারেনা। বরং সেইভাবে যদি সারাবছরের রেজাল্ট একসঙ্গে করে প্রমোশন দিয়ে দেয়া যায় তাহলেওতো আমি মনে করি তাঁদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্য শেষে তাঁর অনুরোধে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি সংবিধান সংশোধনকালে জাতীয় সংসদে জাতির পিতার দেয়া ভাষণটি বাজিয়ে শোনানো হয়।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ