শিক্ষকদের সনদ যাচাই, প্রমাণ মিললে যেসব শাস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক ও পেশাভিত্তিক সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। শিক্ষকদের অনেকে জাল সনদে চাকরি করছেন এবং উচ্চতর গ্রেড নিয়েছেন— এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর মাঠে নেমেছে অধিদপ্তর।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের সনদ দুই ধাপে যাচাই হবে। প্রথম ধাপে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের একাডেমিক ও ‘ব্যাচেলর অব এডুকেশন’ (বিএড) কোর্স, দ্বিতীয় ধাপে একাডেমিকসহ অন্যান্য সনদ যাচাই করা হবে। একাডেমিক ও পেশাভিত্তিক সনদ যাচাইয়ে উভয়ক্ষেত্রে বেসরকারি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদগুলো আগে বিবেচনায় আনা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দারুল ইহসান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও রয়েল ইউনিভার্সিটির সনদগুলো আগে যাচাই করা হবে।
প্রমাণ মিললে যেসব শাস্তি:
কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি বা উচ্চতর গ্রেড নেওয়ার প্রমাণ মিললে দুই ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের যোগ্যতা হিসেবে যেসব সনদ প্রয়োজন হয় যেমন- স্নাতক সনদ, এগুলো জাল প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর বিভাগীয় মামলা হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে দীর্ঘসময় লেগে যায়।
অন্যদিকে, চাকরিতে উচ্চতর গ্রেডে যাওয়ার জন্য বিএড বা সমজাতীয় সনদের প্রয়োজন হয়। এসব সনদ জাল প্রমাণিত হলে দুই ধরনের শাস্তি দিতে পারে প্রশাসন। প্রথমত, সনদের বিপরীতে যে পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছেন তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, তাকে চাকরিচ্যুত করা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার শাস্তিটি বেশি প্রয়োগ করা হয় বলে প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন।