দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
ঝালকাঠিতে ১৮ দিনেও অর্ধেক বই পায়নি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ বছরের প্রথমদিন সারাদেশে বই উৎসব উদযাপিত হলেও স্কুলগুলোতে শতভাগ বই এখনো পৌঁছায়নি। প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিনই কমবেশি বই জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে, ঝালকাঠিতে বিষয় ও শ্রেণিভিত্তিক সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস সময় লাগতে পারে। বৈশ্বিক মন্দার কারণে কাগজ সংকট এবং এনসিটিবির দরপত্র প্রক্রিয়া জটিলতার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরেই সব বই যথাসময়ে ছাপানো সম্ভব না হওয়ায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠির চার উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ হাজার ৪০০টি বই এবং অনুশীলন খাতা বরাদ্দ হয়েছে, যার শতভাগই পৌঁছেছে। কিন্তু প্রথম শ্রেণিতে বরাদ্দ হয়েছে ১৭ হাজার ৪৪৫টি বই। এর মধ্যে পৌঁছেছে ১৪ হাজার ৭৪৫টি বই। অবশিষ্ট রয়েছে দুই হাজার ৭০০টি।
দ্বিতীয় শ্রেণিতে বই বরাদ্দ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৩৪ বই, যার মধ্যে পৌঁছেছে ১৪ হাজার ৮১৪টি। অবশিষ্ট রয়েছে দুই হাজার ৭২০টি বই। তৃতীয় শ্রেণিতে বই বরাদ্দ রয়েছে ৭৫ হাজার ৯০০, পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ৯৫০টি। বাকি রয়েছে ৩৭ হাজার ৯৫০টি বই।
চতুর্থ শ্রেণিতে বই বরাদ্দ রয়েছে ৬২ হাজার ১৪৪টি, পৌঁছেছে ৩১ হাজার ৭২টি। বাকি রয়েছে ৩১ হাজার ৭২টি বই। পঞ্চম শ্রেণিতে বই বরাদ্দ ৭৫ হাজার ৮৯৪টি। পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ৯৪৭টি। বই সরবরাহ বাকি আছে ৩৭ হাজার ৯৪৭টি বই।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের স্কুল, মাদরাসা ও ভোকেশনালে শিক্ষার্থী রয়েছে এক লাখ এক হাজার ৪৮১ জন। মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৮১টি। এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৯ হাজার ১৪৫টি বই পৌঁছেছে। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০টি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরে বরাদ্দের অর্ধেক বই আসলেও মাধ্যমিক স্তরে বই এসেছে বরাদ্দের প্রায় ৩৪ শতাংশ।
বিকনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া জাহান বললো, তিনটি বই পেয়েছি, অন্য বই পাওয়ার আশায় আছি।
নবগ্রাম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া নাদিরা, রাখেশ মণ্ডল ও ইশতিয়াক জানায়, গত ১৫ দিন ধরে তারা স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তু নাম ডেকে ঘণ্টাখানেক পরে তাদের স্কুল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এখনো তাদের সব বই আসেনি।
রাজাপুরের বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক আল আমিন বলেন, সব শিক্ষার্থী বই না পাওয়ায় ঠিকভাবে গণিতের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/১৯/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর