ফ্রি কিকে মেসির ৬০
অনলাইন ডেস্ক।।
গত মৌসুমে ফ্রি-কিক থেকে একটি গোলও পাননি। অথচ লিওনেল মেসির মানেই চোখের ব্যায়াম, গোল হলে তো কোনো কথাই নেই। কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনার হয়ে জ্যামাইকার বিপক্ষে সেই খরা কাটান এই ফরোয়ার্ড। পরশু পিএসজির হয়ে ফ্রি-কিকে টানা দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ফ্রি-কিকে এটি তার ৬০তম গোল। আর তিনটি গোল করলেই ছাড়িয়ে যাবেন স্বদেশি কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে।
তালিকার চূড়ায় উঠতে অবশ্য এখনো ঢের বাকি। ৭৭ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জুনিনিও। মেসির সামনে আরো রয়েছেন জিকো (৬২), ডেভিড বেকহ্যাম (৬৫), রোনালদিনিও (৬৬), ভিক্টোর লেগরোট্যাগলি (৬৬) ও পেলে (৭০)। মেসির ফ্রি-কিকে এগিয়ে গেলেও নিসের বিপক্ষে জিততে বেশ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে পিএসজিকে।
নিজেদের মাঠে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ে তারা। শেষমেষ মাঠ ছাড়ে ২-১ গোলের জয় নিয়ে। ২৮ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে নিস গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেলকে পরাস্ত করেন মেসি। ৪৭ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে চমকে দেয় নিস। পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের তাই বেশিক্ষণ বেঞ্চে বসিয়ে রাখেননি কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। ৮৩ মিনিটে মুকিয়েলের কাটব্যাক থেকে স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি এনে দেন এই স্ট্রাইকার। তাতে ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখে পিএসজি, দুই পয়েন্ট কম নিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মার্শেই।
যদিও জয় নিয়ে খুব একটা তৃপ্ত নন গালতিয়ের, ‘দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমরা ঢিলেঢালাভাবে খেলতে থাকি। শক্তি, ছন্দ ও একাগ্রতা কিছুই ছিল না। যার ফলে নিসকে ভালো খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। তবে দ্রুত আমাদের আক্রমণ ত্রয়ীকে (মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে) একত্রিত করার ফলে প্রতিপক্ষ ডিফেন্স আরো চাপে পড়ে যায়। আমরা ভালো খেলতে থাকি এবং জয়ের সুযোগ তৈরি করি।’
মেসির মতোই ছন্দে আছে তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা। লা লিগায় মায়োর্কাকে ১-০ গোলের জয় পায় তারা। ২০ মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে রবার্ট লেভানডস্কির পা থেকে। যাকে বিশ্বসেরা বলতেও আপত্তি নেই কোচ জাভি হার্নান্দেজের, ‘রবার্ট (লেভানডস্কি) বিশ্বমানের গোল স্কোরার, সম্ভবত বিশ্বের সেরা।’