এইমাত্র পাওয়া

দেশের উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে জোর দিতে হবে: শাবিপ্রবি উপাচার্য

সিলেটঃ দেশের উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থান ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।

সেমিনারে ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্রদের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে। এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের দেশে কিন্ডারগার্টেন, প্লে গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান ও স্ট্যান্ডার্ড টু এগুলো করে বাচ্চাদের চার বছর নষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে বাচ্চাদের বয়স বেড়ে যায়। যার ফলে লেখাপড়ার আগ্রহ কমে যায়। এ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। দেশের স্কুলগুলো যেন পাঁচ বছর হলে বাচ্চাদের সরাসরি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করে।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পায়। সবাই যদি সমান চিকিৎসা সেবা পায় তাহলে ২৪-এর বিপ্লব সফল হবে। সারা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাফল্য কামনা করে ড. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেস সংকট আছে। প্র্যাক্টিকাল ক্লাস, ল্যবরেটরি করা যাচ্ছে না। এগুলো আমরা সংস্কারের চেষ্টা করছি। আশা করি, স্যারের সহযোগিতায় সবগুলো একাডেমিক ভবন করতে পারবো। সবশেষে এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট ও ধ্বনি প্রকাশনীর সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের ওপর বিশেষ ক্যালেন্ডার-২০২৫ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩১/১২/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading