নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামঃ ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খানের গবেষণালব্ধ ‘স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট বাংলাদেশ’বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হবে। আবার স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হলে স্মার্ট শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে এবং হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের টেকসই শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। স্মার্ট ব্লান্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির প্রচলন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ভিন্নভাবে পরিচিত করবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শৈলী প্রকাশনের আয়োজনে শেরওয়ানী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, চবি উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে, প্রফেসর ড. শাহাদাত হোসাইন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তফা আাজাদ কামাল, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন শেরওয়ানী ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা। সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমু।
অনুভূতি প্রকাশকালে ড. বদরুল হুদা খান বলেন, আমি চট্টগ্রামের সন্তান। চট্টগ্রাম থেকেই এই বই উপহার দিতে পেরে আমি আনন্দিত। ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে আমি নাড়া দিতে পেরেছিলাম। আমি খুব কম জানি তাই জানার আগ্রহ থেকে আমি এগিয়ে চলেছি। এই বইয়ে স্মার্ট শিক্ষা কী হওয়া উচিত সেই বিষয়টি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রথাগত শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত করে না। কেবল ডিগ্রি দেয়। আসলে মানুষের মধ্যে প্রকৃত মেধা না থাকলে ডিগ্রি কোনো কাজে আসে না। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট শিক্ষা জরুরি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.