স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই লোকাল ট্রেনে
নিউজ ডেস্ক।।
এক সিট ফাঁকা রেখে এক সিটে বসতে হবে-রেলওয়ের এ নির্দেশনা মেইল ও কমিউটার ট্রেনে ক্ষেত্রে শুধুই কথার কথা। পাশাপাশি সিটে তো বটেই দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন চলছে এসব ট্রেনে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, লোকাল ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানা খুবই কঠিন।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে এ দৃশ্যের দেখা মেলা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চারটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ছেড়ে গেছে। যার প্রতিটিতেই ভঙ্গ হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।
পরিবারের সাত সদস্যসহ রাজশাহী কমিউটার ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন সোহেল রানা। রাজশাহী যাবেন বলে সকাল দশটায় লাইনে দাঁড়িয়ে সাড়ে এগারটায় টিকিট হাতে পেয়েছেন।
সোহেল রানা বলেন, আমরা পাশাপাশি সিটে টিকিট কেটেছি। ভাড়া বেশি নেয়নি। তবে, এক সিট ফাঁকা রেখে এক সিটের টিকিট বিক্রি হয়নি।
সোহেল রানার মতো সৌভাগ্যবান ছিলেন না শিহাব উদ্দিন ও তার ছয় বন্ধু। তাদেরও গন্তব্য ছিল রাজশাহী। রাজশাহী এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় উপস্থিত হন কমলাপুর রেলস্টেশনে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে দশটায় হাতে পান কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
তিনি বলেন, বাড়ি যাবো বলে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেয়েছি। আমরা পাশাপাশি সিটে টিকিট পেয়েছি।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, লোকাল ট্রেনের স্বাস্থ্যবিধি না মানার আশঙ্কা আমাদের ছিল। কারণ লোকাল ট্রেন প্রতিটা স্টেশনে থামে। সেখান থেকে প্রচুর যাত্রী উঠে। এটা বন্ধ করা গেলে লোকাল ট্রেনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে।
লোকাল ট্রেনের স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলেও আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে ট্রেনগুলো। বেলা ১২টা পর্যন্ত আটটি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে।
স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গাজীপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন এসেছিলেন জহির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তিনদিন আগে অনলাইনে টিকিট কেটে স্টেশনে এসেছি। অনলাইনে টিকিট কাটার সিস্টেমটি ভালো লেগেছে। তবে আইটি আরও এক্সপার্ট না হলে এ ব্যবস্থা সবার জন্য সহজলভ্য হবে না।
মঙ্গলবারের ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার বলেন, আমরা আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পেরেছি। লোকাল ট্রেনে অনেক ক্ষেত্রে মানা সম্ভব হয়নি এবং লোকাল ট্রেনে ক্ষেতে মানাটাও বেশ কঠিন। তারপরেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন বন্ধ থাকবে সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ রেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০ জুলাই একতা, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধ থাকবে। বুধবার সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ২২ জুলাই একতা, সুন্দরবন, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধ থাকবে।