স্কুল ছাত্রী লামিয়ার আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছে না কেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী; জেলার দশমিনায় বখাটেদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে দশম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. লামিয়ার (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুরা গ্রামের বাসিন্দা লামিয়ার বাবা আল আমীন ও মা ফাতিমা বেগম আদরের মেয়েকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। বোনকে হারিয়ে কান্না থামছে না লামিয়ার একমাত্র ছোট বোন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মোসা. সুমাইয়ার।
এলাকাবাসী ও আলীপুরা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠীরাও লামিয়ার আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নিতে পারছে না।
লামিয়ার প্রাইভেট শিক্ষক মো. মোস্তফা বলেন, লামিয়া আত্মহত্যার দিন সকাল ১০টায় তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়তে এসে কান্নাকাটি করছিল। তাকে প্রশ্ন করা হলেও সে কোনো উত্তর দেয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, এর বিচার হওয়া উচিত।
আলীপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বখাটে শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৫) ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঈমন গাজীকে (১৪) মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সতর্ক করেছিল। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।
গত মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়তে গেলে স্থানীয় মোশারেফ হোসেনের ছেলে রিফাত এবং তার সহযোগী স্থানীয় মোস্তফা গাজীর ছেলে ঈমন লামিয়াকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে লামিয়া আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযুক্ত রিফাত ও ঈমন এবং তাদের পরিবার আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত রিফাতের চাচি রেনু বিবি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রিফাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত ঈমনের দাদা মোসলেম গাজীও তাঁর নাতির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লামিয়া আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দশমিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবীর গোলদার বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। বিভিন্ন রকমের তথ্য পাচ্ছেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়