সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালো সংশোধিত বৃত্তিতে না
নিজস্ব প্রতিদেক, পটুয়াখালীঃ নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর গত ২৮ মার্চ দুপুরে ঘোষিত প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল বিকেলে স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরবর্তীতে বুধবার (১ মার্চ) সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
একদিনের ব্যবধানে প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা থেকে নাম বাদ যায় পটুয়াখালীর নুর আলামিনের। সে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের উত্তর কালাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার ক্লাস রোল ৬ এবং বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় রোল ছিল ৭৩৬। বর্তমানে নুর আলামিন কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
নুর আলামিন জানায়, স্যার আমাকে বলেছিল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছি, মোবাইলেও বের করে দেখেছি। সবাইকে মিষ্টিও খাইয়েছি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে জানতে পারি আমার বৃত্তি আসে নাই।
আল আমিনের বাবা জামাল মৃধা জানান, আমার ছেলে বৃত্তি পাওয়ায় অনেক খুশি হয়েছিলাম। আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যদি সে বৃত্তি নাই পেত তাহলে আগে কেন দিল, কেন আমার ছেলের মনটা ভেঙে দিল?
আর মা শিখা বেগমের (৩৫) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা মানতে পারিনি। বাংলাদেশের এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা। আমার সরকারের কাছে আবেদন, এটা আবার সংশোধন করা হোক।
উত্তর কালাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, আগের ফলাফল বাতিল হয়েছে, সেখানে যারা নাম লিখতে পারে না, তারাও যেমন বৃত্তি পেয়েছে, তেমনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তি পেয়েছিলো। এটা অধিদপ্তর বাতিল করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বক্তিয়ার রহমান বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে আগে ভুল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারেরটা সঠিক। আগে কারা পেয়েছে, এবার কারা পায়নি, এ রকম তথ্য আমাদের কাছে নেই।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৩/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়