ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি: আলাদা ছাপিয়ে সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে না
ঢাকাঃ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইগুলোর ভুলভ্রান্তির যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে, সেগুলো এখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ই-মেইলে পাঠানো হবে। তারপর প্রধান শিক্ষক শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংশোধনীগুলো জানানো এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধনগুলো সংযোজনের ব্যবস্থা নেবেন। অর্থাৎ, আলাদা ছাপিয়ে সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে না।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যে কীভাবে নির্দেশনা যাবে, তা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’
শিক্ষাবর্ষ শুরুর চার মাসের মাথায় নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইগুলোর ভুলভ্রান্তির সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি। দুটি বইয়ে বানান ভুল থেকে তথ্যগত ভুল মিলিয়ে চার শতাধিক সংশোধনী দিয়ে সেগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এখন মাউশি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সেগুলো প্রধান শিক্ষকের ই–মেইলে পাঠাবে।
এনসিটিবির ওয়েবসাইটে দেওয়া সংশোধনীতে দেখা যায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। কোনো পৃষ্ঠায় ভুলগুলো কী ছিল, সেটি উল্লেখ করে সংশোধনীগুলো কী কী হবে, তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কে মন্তব্যও করা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। তবে বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট বই ১৩টি। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১টি এবং সপ্তম শ্রেণির ১২টি বইয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই বদলে যাচ্ছে। যদিও বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। এরপর প্রশ্ন ওঠে, এ দুটি
বই কীভাবে পড়ানো হবে?
নতুন সংশোধনীতে ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন’ বইয়ের বিষয়ে আলাদা নোট দিয়ে বলা হয়েছে, অনুশীলন বইয়ে যে যে স্থানে ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ অথবা রিসোর্স বই দেখতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সে সে স্থানে শিক্ষকের সহায়তায় বা উপযুক্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ, প্রত্যাহার করা দুটি বইয়ের বিষয়ে শিক্ষকেরা সহায়তা করবেন অথবা অন্যান্য উৎস থেকে শিক্ষার্থীরা তা সংগ্রহ করবে।
উল্লেখ্য, ওই দুটি বই প্রত্যাহারের সময় এনসিটিবি জানিয়েছিল, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়েরও কিছু অধ্যায় সংশোধন করা হবে। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব কটি বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেওয়া হবে, যা এখন দেওয়া হলো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়