শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের ব্যবহার হোক যথাযথ
শিশু-কিশোরদের হাতে প্রথম স্মার্টফোনটি তার বাবা-মা কিংবা কাছের অভিভাবকই তুলে দেন। তাদের সামনেই ধীরে ধীরে শিশুটি মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ে। গেম খেলার জন্য কিংবা নিজের ব্যস্ততায় সময় দিতে পারার জন্য যে মোবাইল সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন, তা কতটুকু নিরাপদ ভেবে দেখেছেন? এমনকি শিশু-কিশোরদের সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকিও রয়েছে। সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা অনলাইনে অনেক ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য জেনে ব্ল্যাকমেইল করে আপনার সন্তানকে দিয়ে অনেক অপরাধকর্ম ঘটিয়ে তাকে বিপদের মধ্যেও ফেলে দিতে পারে।
শিশু-কিশোরদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ঝুঁকি ও বিপদ সম্পর্কে অনেক অভিভাবকই সচেতন নন। সন্তানকেও এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেন না বা সতর্ক করেন না। আবার সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের সময়ও কোনো খেয়াল রাখেন না যে, সন্তান কীভাবে ও কোন কাজে ডিভাইসটি ব্যবহার করছে। সন্তানরাও বা এসব নজরদারি এবং তারা কীভাবে ডিভাইস ব্যবহার করছে, সেসব কথা বাবা-মার সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করে না। মূলত সন্তানের সঙ্গে বাবা-মার সহজ সুন্দর সম্পর্কে নেই কিংবা হয়তো কখনো সেটা গড়েই ওঠেনি, তাই এ ঘটনাগুলো ঘটছে।
শিশু-কিশোররা যে স্মার্টফোন আসক্ত হয়ে পড়েছে, এটা এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্য ঘরে অভিভাবকদেরই প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে। শিশুদের আসনে জ্ঞান দিয়ে কিছু শেখানো যায় না। তারা অনুকরণপ্রিয়। তাই আগে অভিভাবকদের নিজেদের সন্তানের সামনে রোল মডেল হয়ে উঠতে হবে। স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইস শুধু প্রয়োজনেই ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারে সময় অপচয় এবং দেহে ও মনে ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর সন্তানকে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে কিংবা বক্তৃতা করতে দেওয়া যায়। স্মার্টফোন ছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলার সুযোগ দিতে হবে।সর্বপরি স্মার্টফোনের ব্যবহার সীমিত করা হোক।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/১২/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়