ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা হোক নিরাপদ
ঈদ মানেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। দীর্ঘ সময় পরিবার থেকে আলাদা থাকার পর ঈদে কাছের মানুষদের কাছে যাওয়া হয়, আনন্দে কাটানো হয় কয়েকটা দিন।
তাই ঈদে সবারই থাকে বাড়ি ফেরার তাড়া। ঈদে নগরবাসীর গ্রামমুখী হওয়ার সামাজিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বেশ কিছু কারণও রয়েছে। মুসলমানের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। স্বাভাবিকভাবেই এ উৎসব ঘিরে থাকে আবেগ। সে আবেগের টানেই মানুষের ঘরে ফেরা।
কেউবা বাসে, কেউবা ট্রেনে, কেউবা ফেরিতে সব মিলিয়ে সকলেই এখন শহর ছেড়ে গ্রামমুখী হই। প্রতিবছরই দেখা যায় ঈদকে কেন্দ্র করে সড়ক ও নদীপথে চোর ও ডাকাতের উৎপাত বেড়ে যায়।
উৎসবকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় রোড অ্যাক্সিডেন্টের মাত্রা, বেড়ে যায় ছিনতাই, চুরি, চাঁদাবাজির মতো অনেক সামাজিক অপকর্ম। টিকিট ভোগান্তি, টিকিট পেলেও কয়েকগুণ বেশি দাম, যানজটসহ নানা ধরনের সমস্যায়ই পড়তে হয়। বিশেষ বা অতিরিক্ত বাস-ট্রেনও এই মানুষের স্রোত সামলে উঠতে হিমশিম খায়।
উপরন্তু বেশি ভাড়ার বিড়ম্বনা। এ ছাড়া প্রতিবছর দেখা যায়, ঈদের সময় বিভিন্ন চক্র যেমন ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, গামছা পার্টির আবির্ভাব হয়। বিশেষ করে মলম পার্টির প্রাদুর্ভাব ঈদের সময় বেশি দেখা যায়।
তারা খাবারের মধ্যে নেশাজাতীয় বা চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে অর্থ, ফোন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ।
কে, কখন, কোথায়, কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবেন, তা কেউ জানে না। বাস্তবিক অর্থেই এটা মহামারির রূপ নিয়েছে। এর রাশ টেনে ধরতেই হবে, থামাতে হবে মৃত্যুর মিছিল।
তবেই হয়ত উৎসবে নাড়ির টানে যাত্রা আর ফিরতিকালে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়বে না কেউ, বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার সময় লাশ হয়ে ফিরবে না!
সড়ক দুর্ঘটনায় এই মৃত্যুর মিছিল সামাল দিতে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা জনগণ ভীষণভাবে অনুভব করছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসুক। প্রতিটি উৎসব হোক নিরাপদ, উৎকণ্ঠাহীন, বর্ণিল ও আনন্দময়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/০৯/০৪/২০২৪