অনলাইন ডেস্ক।।
নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) জীবনের ৭৮ বছর পূর্ণ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রতি বছর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাতেন, তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারো কোনো প্রোগ্রাম রাখা হয়নি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, করোনার কারণে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে না। তবে শনিবার (১ জানুয়ারি) জন্মদিনে নিজের পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই সময় কাটাবেন রাষ্ট্রপতি। এর বাইরে বঙ্গভবনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেক কাটতে পারেন।
জন্মগ্রহণ:
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে, ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর স্বাধীন দেশে আরো ছয়বার তিনি সংসদে নিজের এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
রাজনৈতিক জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পাওয়ার কথা বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছেন আবদুল হামিদ। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের তরুণ বয়সের রাজনৈতিক সংগ্রামের বিভিন্ন দিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজের তরুণ বয়সে বঙ্গবন্ধুকে নেতা হিসেবে পেয়ে তিনি গর্বিত।
জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব:
আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন দুই দফা।
রাষ্ট্রপতি:
গত ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বঙ্গভবনের বাসিন্দা হন তিনি। আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার শপথ নেন। পরের দফায় ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি।
স্বাধীনতা পদক:
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ধরাবাঁধা নিয়মের ছকে থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে তিনি রয়েছেন সাধারণ মানুষের খুব কাছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ বিভিন্ন সময়ে ঠাট্টাচ্ছলে বঙ্গভবনকে তুলনা করেন জেলখানার সঙ্গে। আর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, খাঁচার পাখিরে যতো ভালো খাবারই দেয়া হোক না কেনো, সে তো আর বনের পাখি না। আমি একটা দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসেছি। সংসদে মনের খোরাক পেতাম, বঙ্গভবনে পাই না। ইচ্ছা করলেই অনেক কিছুই করতে পারি না।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনের পরিবেশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ আরো বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে জেলে ছিলাম। এখনো জেলে আছি। পার্থক্য আগে স্যালুট দিত না, এখন দেয়।
ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক।
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।