‘যমজদের বিদ্যালয়ের’ নাম এখন সবার মুখে মুখে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঠাকুরগাঁওঃ একই প্রতিষ্ঠানে দশ জোড়া (বিশজন) জমজ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এ খবর এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল। গত ২৪ মার্চ "এক স্কুলে পড়ছে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন" শিরোনামে শিক্ষাবার্তায় সংবাদ প্রকাশে পর যমজ শিক্ষার্থীদের এক নজর দেখতে ঠাকুরগাঁওয়ের মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে ছুটছেন অনেকে। ‘যমজদের বিদ্যালয়’ নামে পরিচিত এই স্কুলের নাম এখন সবার মুখে মুখে।
প্রতিষ্ঠানটিতে যমজদের নিয়মিত পাঠদানে অনেকটা উচ্ছসিত সংশ্লিষ্টরা। তবে শিক্ষার্থীরা জমজ হওয়ায় মাঝে মাঝেই একজনের পরিবর্তে অন্যজনকে প্রশ্ন করে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হয় শিক্ষকদের।
১৯৩২ সালে স্থাপিত ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের এই বিদ্যালয়ে জমজ শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে দুই জোড়া, সপ্তম শ্রেণিতে তিন জোড়া, অষ্টম শ্রেণিতে এক জোড়া, নবম শ্রেণিতে দুই জোড়া এবং দশম শ্রেণিতে দুই জোড়া জমজ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হলো- সান ও মুন এবং তাহসিন ও তাসনিম। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হলো- সাদিয়া ও সুমাইয়া, হাবিব ও হাফিজ এবং গণেশ ও কার্তিক। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হলো-সৌরভ ও শুভ। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হলো, হাসি ও খুশি, তাহবি ও তাসবি এবং নুপুর ও ঝুপুর। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হলো-আবিদ ও অমিত, চঞ্চল ও রাহুল।
জমজ শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাসে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতই আমরা ক্লাস করি। তারা আমাদের সঙ্গে অনেক ভাল আচরণ করে। আমরাও জমজ হওয়ায় বন্ধু হিসেবে পরস্পর পরস্পরের পাশে থাকি সব সময়। একই রকম কাপড় পড়ি। একজন ভাল রেজাল্ট করলে অপরজনও ভাল রেজাল্ট করতে পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠি। সব মিলিয়ে চলার পথটা অনেক ভাল লাগার।
তারা জানায়, ক্লাসে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতই আমরা ক্লাস করি। তারা আমাদের সঙ্গে অনেক ভাল আচরণ করে। এছাড়া আমরা জমজ হওয়ায় পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকি সব সময়। একই রকম কাপড় পড়ি। একজন ভালো রেজাল্ট করলে অপরজনও ভাল রেজাল্ট করতে পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠি। সব মিলিয়ে চলার পথটা অনেক ভাল লাগার।
ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং সরকারি শিক্ষক আল মামুনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, ক্লাস নেয়ার সময় একজনের পরিবর্তে আরেক জনকে প্রশ্ন করে বসায় প্রায়ই অপস্তুত হতে হয়। তবে তারা খুব শান্ত প্রকৃতির। ক্লাসে বেশিরভাগ জোড়া শিক্ষার্থীর রোল ১-২০ এর মধ্যে। তাদের দেখে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হয়ে উঠছে।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর জানান, জমজ শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আগ্রহী। তাদের মধ্যে দরিদ্র শিক্ষার্থী থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে পড়ালেখা আরও তরান্বিত হতো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৭/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়